সোমবার, ৪ মে, ২০২০

#বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
    Published: 2020-05-04 23:31:49 BdST

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেমিস্টার ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

সোমবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই দাবিতে মানববন্ধন করেন ছাত্র সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়ের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মানুষের জীবন-জীবিকা যখন হুমকির মুখে সেই সময়ে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু সেমিস্টার ফি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষা, কুইজ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উচ্চ ইন্টারনেট ব্যয় বহন করে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষায় সংযুক্ত হওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তারা।
ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের ভাষ্যমতে, ইতোমধ্যে অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার ফি আদায় এবং সময়মতো তা পরিশোধ না করলে জরিমানার কথা উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিয়েছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ‘অধিকাংশ শিক্ষার্থীই’ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে ছাত্র ইউনিয়ন বলছে, এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর যখন ‘তিনবেলা খেয়ে বেঁচে থাকা কঠিন’ সে সময় সন্তানের সেমিস্টার ফি ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো নেমে এসেছে।
একে ‘অমানবিক সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “যেখানে প্রায় প্রত্যেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছরের উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব সেখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করার পেছনে অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের লোভ ছাড়া আর কোনো কারণ থাকতে পারে না।
“এরপরও যদি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানে অর্থের প্রয়োজন পড়ে তার জন্য সরকারের উচিত আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা। কিন্তু কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে ফি আদায় করা যাবে না।”

bdnews24 খাগড়াছড়ি সীমান্তের শূন্য রেখায় এক মাসের বেশি আটকে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী শাহানাজ পারভীন অবশেষে ফিরছেন স্বজনদের কাছে।

bdnews24

খাগড়াছড়ি সীমান্তের শূন্য রেখায় এক মাসের বেশি আটকে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী শাহানাজ পারভীন অবশেষে ফিরছেন স্বজনদের কাছে।

সোমবার বিকাল ৪টায় রামগড় বাজার এলাকায় ফেনী নদীর তীরে সীমান্ত পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রসের (আইসিআরসি) কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার তাকে কুড়িগ্রামে স্বজনদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে বলে বিজিবি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সংশ্লিষ্টরা জানান।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় কমিটির সদস্য ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, বিজিবির গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জিএসএম সেলিম হাসান মানসিক প্রতিবন্ধী নারী শাহনাজ পারভীনকে (৩৫) রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
কংজরী চৌধুরী নিজে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইসিআরসির নেতৃত্ব দেন বলে জানান।
এ সময় রামগড় ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারিকুল হাকিম, রেড ক্রিসেন্টের পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন (আরএফএল) কর্মকর্তা মাহবুবুল হক, রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারি, রেড ক্রিসেন্ট খাগড়াছড়ি ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মজুমদারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রেড ক্রিসেটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ এপ্রিল রামগড় এসডিও বাংলোর পেছনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মানসিক প্রতিবন্ধী শাহনাজের অবস্থান নেন। এ সময় বিজিবি ও বিএসএফ কোনো পক্ষই তাকে নিজেদের ভূখণ্ডে নিতে রাজি হয়নি। এরপর বিজিবি-বিএসএফ কয়েক দফা পতাকা বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। সে থেকেই এই নারী সেখানে অবস্থান করছিলেন।
পরে বিজিবির অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে গত ২২ এপ্রিল জানতে পারে এই নারীর নাম শাহানাজ পারভিন। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দইখাওয়ারচর গ্রামের হাতেম আলী শেখের মেয়ে। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে অন্তত দুই বছর আগে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
বিজিবি জানায়, খোঁজ পাওয়ার পরও করোনাভাইরাস পরীক্ষা না হওয়ায় তার হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। এর মধ্যেই তার করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
রেড ক্রিসেন্টের পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন (আরএফএল) কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, “তাকে নিয়ে আগামীকাল [মঙ্গলবার] রামগড় থেকে রওয়ানা হবেন রেড ক্রিসেন্টের প্রতিনিধিদল। কালই সন্ধ্যা নাগাদ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দইখাওয়ারচর গ্রামে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হতে পারে।”
এই নারীকে হস্তান্তর করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রামগড় ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারিকুল হাকিম।
তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে কংজরী চৌধুরী বলেন, “এতদিন অমানবিকভাবে জীবন কেটেছে এই নারীর। তিনি কেবল একজন নারীই নন, মানুষও। তাকে ঘরে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারলেই আমি খুশি।”
মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে কুড়িগ্রামের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঢাকা রেড ক্রিসেন্ট থেকে একজন নারী ভলান্টিয়ারকে আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সিনহা হত্যা মামলা

সিনহা হত্যা মামলা পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষীর আবার রিমান্ড মামলার ১৩ আসামির মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রধান আস...